রাজধানীর একটি হাসপাতালে অতিরিক্ত বিল দাবি করায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন এক ভ্যানচালক। ওই ভ্যানচালকের প্রসূতি স্ত্রী হাসপাতালে মারা গেছেন। নবজাতক সন্তানের অবস্থাও নাজুক। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় স্ত্রীর মরদেহ ও নবজাতককে নিয়ে যান তিনি।

জাতীয় জরুরি সেবার ফোকাল পারসন (গণমাধ্যম) পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর থেকে সন্তানসম্ভবা মুমূর্ষু স্ত্রীকে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকার গ্রিন রোডের নিউ লাইফ হসপিটালে ভর্তি করান ভ্যানচালক আফজাল হোসেন (৪৮)। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে তাঁর একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়, কিন্তু প্রসবজনিত জটিলতায় তাঁর স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সদ্যোজাত সন্তানের শারীরিক অবস্থাও ছিল নাজুক। এরপর তিনি তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিতে চাইলে তাঁকে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি চার দিন হাসপাতালে অবস্থান এবং সন্তান ডেলিভারির জন্য এত টাকা বিল দাবি করার কারণ জানতে চান এবং এত টাকা পরিশোধে অসম্মতি জানান। তখন হাসপাতাল থেকে তাঁকে জানানো হয়, বিল পরিশোধ না করলে তিনি তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ এবং সন্তানকে নিয়ে যেতে পারবেন না। শেষে তাঁর এক আত্মীয়ের পরামর্শে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন রাত ২টা ২০ মিনিটে।

৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে কলাবাগান থানার একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে কলাবাগান থানার এসআই শামীম ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। ভ্যানচালক আফজালের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় ন্যূনতম বিল নেওয়ার অনুরোধ জানান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৭৭ হাজার টাকা বিল নিয়ে তাঁর মৃত স্ত্রী এবং সন্তানকে ছাড়পত্র দেয়।