ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত হামাসের একটি সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সেখানে বর্তমানে হামাসের সদস্যদের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কেউ নেই। তারা বিক্ষিপ্তভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি দাবি করেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৮ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও তার এই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) এখন গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার দিকেই জোর দিচ্ছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সংঘাতে গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার জোর দিয়ে বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করা, আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতে গাজা আর কখনো ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না- এমনটা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ইসরায়েল সেখানে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে।

এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, সম্পূর্ণ বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমাদের বাকি সবকিছু পাশে সরিয়ে রাখতে হবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২২ হাজার ৭২২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরও ৫৮ হাজার ১৬৬ জন।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এখন বসবাসের অনুপযোগী। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অক্টোবরে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার পর গাজা পুরোপুরি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেন, ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে গত তিন মাসে গাজা একটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। চারদিকে হতাশা ছাড়া আর কিছুই নেই।

তিনি বলেন, গাজার সাধারণ মানুষ টিকে থাকার জন্য প্রতিদিন নানা রকমের হুমকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে বিশ্ব শুধু এই দৃশ্য বসে বসে দেখছে। মানবাধিকার সংস্থার এই প্রধান কর্মকর্তা বলেন, ২০ লাখের বেশি মানুষকে সহায়তার এক জটিল দায়িত্ব তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র: জাগো নিউজ।