গত জুলাইয়ে তালেবানের বিরুদ্ধে গজনি প্রদেশে হাজারা জনগোষ্ঠীর ৯ জনকে হত্যার অভিযোগ এনেছিল অ্যামনেস্টি। ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের হাজারা জনগোষ্ঠীর ১৩ সদস্যকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন তালেবানের বিরুদ্ধে। খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এমন অভিযোগ তুলেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তালেবান।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ থাকার দাবি করে অ্যামনেস্টি বলছে, ক্ষমতা দখলের কিছুদিনের মধ্যেই দেকুন্ডি প্রদেশে হাজারা সম্প্রদায়ের ১৩ জনকে হত্যা করেছেন তালেবান সদস্যরা। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আগের সরকারের ৯ সৈন্য তালেবান বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেও তাঁদের হত্যা করে; এই হত্যাকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩০ আগস্ট খিদর জেলায় ঢুকে পড়েন ৩০০ তালেবান সদস্য। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর (এএনএসএফ) অন্তত ১১ জন সদস্যকে হত্যা করেন তাঁরা। নিহত ব্যক্তিরা সবাই সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারপরও প্রাণহানির শিকার হন তাঁরা। তাঁদের বয়স ছিল ২৬ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে।

হত্যাকাণ্ডের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক কয়েকজন সদস্য পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন তালেবান সদস্যরা। এতে মাসুমা নামের ১৭ বছরের এক কিশোরী এবং ফয়েজ নামে ২০ বছরের আরও একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

দেকুন্দি প্রদেশের ঘটনা নিয়ে তালেবান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারী সৈয়দ খোস্তি বিবিসিকে বলেন, অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন একপক্ষীয়। সব আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আফগানিস্তানে এসে এ বিষয়ে একটি যথাযথ তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

হাজারা আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। তারা মূলত শিয়া মুসলিম। সুন্নি সংখ্যাগুরু আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে তারা দীর্ঘদিন ধরেই বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার।