মারুফাকে হত্যার একমাত্র আসামি তাঁর স্বামী মো. ইমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

হত্যা মামলার হওয়ার পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার পুলিশ। এর আগে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, কাপাসিয়ার বড়বের এলাকার মাসুদ মিয়ার মেয়ে মারুফা আক্তারের (১৪) সঙ্গে শ্রীপুর উপজলার বরকল এলাকার এমদাদুল্লাহর ছেলে ইমনের (১৯) বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে মারুফাকে তার শ্বশুরবাড়িতে চুরি করার অপবাদ দিলে সে রাগ করে প্রথমে নানির বাড়ি এবং পরে বাবার বাড়িতে চলে আসে। কিছুদিন পর স্বামী ইমন তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে শ্বশুরবাড়ি আসেন। মারুফা তার স্বামীর সাথে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মারুফা বাবার বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে এক ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মারুফার বাবা-মা মেয়ের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করে। সাড়া না পেয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে দেখে মারুফার লাশ খাটের ওপর পড়ে আছে। জামাই ইমন পলাতক। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানা-পুলিশ মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় মারুফার বাবা গতকাল রোববার কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর শ্রীপুর থানার সাত খামাইর রেলস্টেশন থেকে ইমনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ইমন আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেই সঙ্গে মারুফার লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলা করার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে একমাত্র আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মৃতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ এবং মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।