সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশের হেফাজতে ২ আসামি। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যুবলীগ নেতা ইউসুফ হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি ওয়ান শুটার গান ও পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয়। শনিবার (১৭ জুন) রাতে উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের বড়দারোগারহাট সহস্রধারা ঝর্ণা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর আজকের পত্রিকার।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মধ্যম এয়াকুবনগর এলাকার মৃত নুরুল আবছারের ছেলে রবিউল হোসেন ওরফে বাবলু (৩২) এবং একই এলাকার মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে আলমগীর হোসেন ওরফে পিস্তল আলমগীর (৩২)। বাবলু ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও আলমগীর সদস্য বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, গত বছরের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ডের নুনাছড়া বটতলা পেট্রলপাম্প-সংলগ্ন মৃদুলা হোটেলের ভেতরে যুবলীগ নেতা ইউসুফকে বাবলু ও আলমগীরসহ তাদের সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় তাদের অবস্থানের খবর পেয়ে বড় দরোগারহাট সহস্রধারা ঝর্না-সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকায় উপপরিদর্শক (এসআই) মুকিব হাসানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে পিছু ধাওয়া করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে দুটি ওয়ান শুটার গান ও পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার দুজন যুবলীগ নেতা ইউসুফ হত্যা মামলার আসামি। তারা যুবদলের অস্ত্রধারী ক্যাডার। তারা ২০১৩-১৪ সালের অগ্নি-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে যুবদল ক্যাডার বাবলুর বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন, নাশকতাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৩টি মামলা এবং আলমগীরের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে বাবলুর বিরুদ্ধে সাতটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং আলমগীরের বিরুদ্ধে চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের পরে তাদের রোববার সকালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।