সিলেটের কানাইঘাট থানা-পুলিশের অভিযানে কামিল হত্যা মামলার মূল হোতা তোতা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে জৈন্তাপুর থানার সৈইয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামি হলেন কানাইঘাট থানার নিজ বানীগ্রাম এলাকার মৃত মজিদ আলীর ছেলে তোতা মিয়া (৬০)।
মঙ্গলবার কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি অলক কান্তি শর্মার নির্দেশনায় এবং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদের নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সনজিত কুমার রায়, এসআই রাম চন্দ্র দেব, এসআই মাছুম আলম অভিযান চালিয়ে জৈন্তাপুরের সৈইয়া গ্রামের শাহাব উদ্দিনের বাড়ি থেকে কামিল হত্যা-মামলার মূলহোতা তোতা মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নিজ বাণীগ্রাম গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে কামিল আহমদের সঙ্গে তার চাচা আলা উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল। কামিল আহমদের বাবা-মা ছোটবেলা মারা যাওয়ার পর চাচা আলা উদ্দিন তাদের কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখল করে নেন। এতে প্রতিবাদ করে আসছিলেন কামিল আহমদ। যার কারণে তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা পূর্বে হামলা করে গুরুতর আহত করেছিল।
২১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে কামিল আহমদ স্থানীয় গাছবাড়ী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তোতা মিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী আলা উদ্দিন, নিজাম, শরীফ, শাহিন, ছয়ফুল আলম, হারুন রশিদ গং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কামিল আহমদের ওপর হামলা চালিয়ে তার পা ভেঙে ফেলে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কামিল আহমদকে সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমীন বেগম বাদী হয়ে চাচা আলা উদ্দিন, মূলহোতা তোতা মিয়াসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওসি গোলাম দস্তগীর জানান, কামিল আহমদ হত্যার পরপরই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। নিহত কামিল ও আসামিরা একই গোষ্ঠীর লোক এবং আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে এলাকার লোকজন কোনো তথ্য পুলিশকে প্রদান না করায় আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। অভিযানের একপর্যায়ে কামিল হত্যা মামলার মূলহোতা তোতা মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তোতা মিয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।