কিশোরগঞ্জে হত্যার পর মরদেহ মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি। ছবি: পুলিশ নিউজ

কিশোরগঞ্জ সদরের সগড়ায় হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়া মামলার রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি মূল আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ২০ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে সোহান আহাম্মেদ আলিফ (২৩) দুপুরের খাবার খেয়ে একটি দর্জির দোকানে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। তখন থেকে তাঁর খোঁজ না মেলায় আলিফের মা হাওয়া আক্তার স্বজনদের নিয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় যান। এরপরও কোনো সন্ধান না পেয়ে গত ২৮ মার্চ কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করেন তিনি।
ওই ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাড়ি, আশপাশের এলাকা, পার্শ্ববর্তী গ্রামসহ সম্ভাব্য সব স্থানে অনুসন্ধান করে উলুহাটি এলাকার গাউসুল আযম গোরস্থানের জন্য বরাদ্দকৃত জমির ভিটায় দুর্গন্ধ পায় পুলিশ। পরে ২৯ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাটি খুঁড়ে আলিফের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় আলিফের মা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার পরই এজাহারভুক্ত আসামি আনন্দ (১৭) ও হুমায়ুন কবিরকে (২৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এজাহারভুক্ত মূল আসামি মাসুদকে ২ মার্চ সকাল ৬টা ১০ মিনিটে মহিনন্দ ইউপির ভাস্করখিলা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তারর করা হয়।

গ্রেপ্তার মাসুদের দেখানো মতে হত্যার আগে সেবনকৃত ঘুমের ট্যাবলেটের খালি পাতা, খালি কাশির সিরাপের বোতল, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লাঠি ও লাশ গুম করার জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজে ব্যবহৃত দুটি কোদাল উদ্ধার করা হয়।

মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি তাঁর ভাগ্নেকে উপহার দেওয়ার জন্য কেনা রূপার বিছা চোর সন্দেহে ভিকটিমকে ডেকে এনে সহযোগীদের নিয়ে রাতের আঁধারে হত্যা করেন। পরে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মরদেহটি মাটিচাপা দেন।