নাটোরের লালপুরে জুয়েল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির মধ্যে দুজন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পরকীয়ার বলি হয়েছেন নাটোরের লালপুরের জুয়েল হোসেন (৩০)। তাঁকে হত্যার সাত দিনের মাথায় পুলিশের জোর তদন্তে এই উপসংহারই এসেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মোছা. সেলিনা খাতুন (২৮), মো. মেহেদী হাসান লিটন (২০) ও মো. মেহেদী হাসান (২০)।

লালপুর থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৩ মার্চ রাতে জুয়েল বাড়ি থেকে বের হন। এরপর ৮ মার্চ সকালে স্থানীয় একটি ফসলের খেত থেকে তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই মামলা করে পরিবার। এরপর নাটোরের লালপুর থানা-পুলিশ তদন্তে নামে, অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন আসামি সেলিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এদিকে আসামি মেহেদী হাসান লিটনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পারে, সেলিনা নিহত জুয়েলের চাচি। তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সেলিনা ও তাঁর সৎছেলে মেহেদী হাসান তাঁদের বাড়িতে জুয়েলকে যেতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে জুয়েলের সঙ্গে তাঁদের শত্রুতার সৃষ্টি হয়।

এদিকে গ্রেপ্তার দ্বিতীয় আসামি মেহেদী হাসান লিটনের বড় ভাই সুমন এক রাতে জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে সেলিনার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ নিয়ে সালিস হলে সুমনকে জরিমানা দিতে হয় এবং জুয়েল সেখানে সুমনকে মারধর করেন। এ নিয়ে মেহেদী হাসান লিটনের সঙ্গে জুয়েলের শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এরপর সেলিনা, মেহেদী হাসান ও মেহেদী হাসান লিটন মিলে জুয়েলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক ৩ মার্চ রাতে জুয়েলকে ডেকে নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন হত্যাকারীরা। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে তাঁকে লাশ উদ্ধারের জায়গায় নিয়ে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন মেহেদী হাসান ও মেহেদী হাসান লিটন। এরপর সেলিনার সৎছেলে মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।