পাখি হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার শাহাদাত হোসেন জীবন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর জান্নাতুল ফেরদাউস পাখি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছোরা, নিহতের মোবাইল ফোন ও ওড়না।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

এর আগে শনিবার রাতে আসামি শাহাদাত হোসেন জীবনকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আজ সকালে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের পাশের একটি ডোবার পানির নিচ থেকে ছুরি, মোবাইল ফোন ও ওড়না উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাহাদাত হোসেন জীবন দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বরপুর গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ।

পুলিশ সুপার জানান, নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস পাখির ২০০৮ সালে প্রথম ও ২০১৪ সালে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দ্বিতীয় বিয়ের ৬ মাস পর স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। চলতি বছরের মে মাসে শাহাদাত হোসেন জীবনের সঙ্গে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পরিচয় হয় পাখির। এরপর উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিতাম্বরপুর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির এনায়েত উল্যার বসতঘরের পাশে নির্জন স্থানে দেখা করে তারা। ওই স্থানে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে জীবন তাঁর সাথে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে প্রথমে পাখির গলা কেটে দেন। পাখি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুই হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন বুধবার সকালে ওই এলাকা থেকে পাখির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি শাহাদাত হোসেন জীবনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছোরা, নিহতের মোবাইল ফোন ও ওড়না উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।