ডিবির হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি : এসএমপি

সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধে নারী, পুরুষসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানাধীন সুরমা মার্কেটস্থ নিউ সুরমা নামের আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের পোস্টে এ খবর জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. ইমন মিয়া (২৬); তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া থানার আশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি বর্তমানে সিলেটের পূর্ব জিন্দাবাজার গ্রামে বসবাস করেন। তুহিন আহমেদ (২৪); তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ থানার চারিগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা। গোলাম রাব্বানী (৩৬); তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার বড় মুসকুন্নি গ্রামের বাসিন্দা। মোছা. লাবণ্য আক্তার (২৫); তিনি কক্সবাজারের রামু থানার বাসিন্দা। মোছা. সাথী আক্তার (২৪); তিনি খুলনার রূপসা থানার নিকলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। শেফালী বেগম (২৫); তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার সাতগাঁও (জামসী) গ্রামের বাসিন্দা। জ্যোৎস্না আক্তার (২৫); তিনি কক্সবাজারের উখিয়া থানার জালিয়া পালং গ্রামের বাসিন্দা। নয়ন মনি (২৬); তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার দুপুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। জেরিন আক্তার তারিন (২৩); তিনি সিলেটের কানাইঘাট থানার শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল ও কোতোয়ালি মডেল থানার একটি দল এবং নারী পুলিশদের নিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালায়।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের সময় ওই হোটেলের মালিক আরজত চৌধুরী (৪৫) ও হোটেলের ম্যানেজার আব্বাস মিয়া (৪৭) পালিয়ে যান।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলের মালিক ও ম্যানেজার দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সী মেয়েদের তাঁদের হোটেলে এনে পতিতাবৃত্তি কাজ করান।

হোটেলের মালিক, ম্যানেজারসহ গ্রেপ্তারকৃত সবার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় আজ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।