পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার দুই প্রতারক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

নাটোর জেলার সিংড়া থানার পুলিশ একটি প্রতারণার ঘটনায় ২ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করেছে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা।

জানা গেছে, সিংড়া থানার মোছা. সাহারা বেগম (৫৭) ও মোছা. আজিরন বেগম (৩২) ৩১ মার্চ দুপুর সোয়া ১টার সময় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটা করার জন্য বাড়ি থেকে সিংড়া বাজারে আসার সময় পথে জামতলী বাসষ্ট্যান্ডে যাত্রীবেশে থাকা অজ্ঞাত ৩ জন প্রতারকের সাথে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। যাত্রীবেশে থাকা মো. রফিকুল ইসলাম (৫৭) তাঁর হাতে থাকা পাতলা লাল কাগজে মোড়ানো একটি লোহার পাত যার ওপরে স্বর্ণের রং করা (কথিত স্বর্ণের বার) সাহারা বেগমকে দেখিয়ে বলেন যে তাঁর ছেলে বিদেশে থাকে, সে স্বর্ণের বারটি পাঠিয়েছে। এটি দিয়ে আপনার অনেকগুলো কানের ঝুমকা এবং দুল হবে। আপনার পুরোনোগুলো আমাকে দিয়ে দিন এবং স্বর্ণের বারটি নিয়ে যান। তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে সাহারা বেগম তাঁর দুই কানে থাকা স্বর্ণের ৪ আনা ২ রতি ওজনের দুটি পাশা (যার মূল্য অনুমান ৩০ হাজার টাকা) খুলে প্রতারক রফিকুলকে দিয়ে দেন এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা ৬০০ টাকাও দেন। এরপর প্রতারকেরা তাঁদেরকে পথে চয়নমোড় নামক স্থানে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত অটোরিকশাযোগে পালিয়ে যেতে থাকেন। সাহারা বেগমের সন্দেহ হলে তিনি ও আজিরন আরেকটি অটোরিকশাযোগে তাঁদের ধাওয়া করেন এবং চিৎকার করতে থাকেন। সিংড়া থানাধীন তাজপুর বাজারে টহলরত পুলিশ জনগণের সহায়তায় অটোরিকশাটির পথরোধ করে এবং প্রতারক রফিকুলকে আটক করে। তাঁর কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশা এবং পাতলা লাল কাগজে মোড়ানো একটি লোহার পাত যার ওপরে স্বর্ণের রং করা কথিত স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। সিএনজিতে থাকা অপর দুই প্রতারক সেরাজুল ও মানিক কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সেরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণামূলকভাবে কানের পাশা ও টাকা আত্মসাৎ করায় সিংড়া থানায় একটি মামলা করা হয়।

পলাতক অপর প্রতারককে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।