ঢাকার সাভারে গরম তেল ছুড়ে স্বামীকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।

তা ছাড়া আট দিন ধরে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সাভার থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুজন শিকদার।

রোববার স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

দগ্ধ আমিনুল ইসলাম (৩০) ফরিদপুরের বালিয়াডাঙ্গী থানার রতনাই বাঘা গ্রামের মো. হাশেম আলীর ছেলে। তিনি সাভার ভরারী এলাকায় ডার্ড পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করেন।

সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের নতুনপাড়া এলাকার মুক্তার আলীর বাড়িতে ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন আমিনুল। সেখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

এসআই সুজন প্রতিবেশীদের বরাতে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ১৯ নভেম্বর স্ত্রী আমিনুলের গায়ে রান্নার গরম তেল ছুড়ে দেন। এর পর থেকে ঘরেই ছিলেন আমিনুল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। পরে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে আমিনুলকে উদ্ধার করে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করায় পুলিশ। গরম তেলে আমিনুলের মাথা, ঘাড়, বুকের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে।

আমিনুলের স্ত্রীর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের পাংশা থানার হরিণাডাঙ্গী এলাকায়। হেমায়েতপুর এলাকায় এজেআই পোশাক কারখানায় চাকরি করেন তিনি।

আটক করার পর আমিনুলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই সুজন।