খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।

বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আইজিপি ৩০ এপ্রিল (শনিবার) এক শোকবার্তায় বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিহাসে একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রজ্ঞাবান, কর্মযোগী ও নিষ্ঠাবান এ ব্যক্তিত্ব অর্থনীতিবিদ, মন্ত্রী, গবেষক, পরিবেশবিদ ও লেখক হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন, যা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা পদকে ভূষিত প্রাণবন্ত মানুষ আবুল মাল আবদুল মুহিত বেঁচে থাকবেন অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে।

আইজিপি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সাবেক অর্থমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাল আবদুল মুহিত ২৯ এপ্রিল (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভূগছিলেন। মাঝে তাঁকে কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়।

আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত ১২টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাঁর ছোট ভাই।

আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ও সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীর ১২ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তাঁর স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত একজন ডিজাইনার। তিন সন্তানের মধ্যে কন্যা সামিনা মুহিত ব্যাংকার ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ। বড় ছেলে সাহেদ মুহিত বাস্তুকলাবিদ এবং ছোট ছেলে সামির মুহিত একজন শিক্ষক।