মায়ের কোলে শিশু রিয়াদুস সালেহীন হামদান। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকার সাভার থানা-পুলিশের বিচক্ষণতায় মায়ের কোল ফিরে পেয়েছে সাত মাসের শিশু রিয়াদুস সালেহীন হামদান।

সোমবার (১৫ মে) সাভার মডেল থানা ভবনে শিশুটিকে তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ২০২১ সালের নভেম্বরে হালিমা বেগম (৪১) নামের এক বিধবা নারীকে বিয়ে করেন সাভারের বাসিন্দা এইচ এম দেলোয়ার হোসেন। বিয়ের পর মায়ের বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন হালিমা। বিয়ের তিন মাস পর গর্ভবতী হওয়ার কথা দেলোয়ারকে জানান তিনি। এরপর মায়ের বাড়িতে অবস্থানকালে গত ৪ নভেম্বর তাঁর ছেলেসন্তান ভূমিষ্ঠ হয় বলে জানান হালিমা। শিশুটির নাম রাখা হয় রিয়াদুস সালেহীন হামদান।

গত ৭ নভেম্বর শিশুটিকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি সাভারের তালবাগে ফিরে আসেন হালিমা। একটু বড় হওয়ার পর শিশুটির চেহারা দেখে দেলোয়ারের মনে সন্দেহ জাগে, এটি তার সন্তান নয়। স্ত্রী হালিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে দেলোয়ার জানতে পারেন, হামদান তাঁদের সন্তান নয়। তাকে কৌশলে নওগাঁর মহাদেবপুর থেকে নিয়ে এসেছেন হালিমা। গত ১২ মে হালিমাকে তালাক দেন এবং সাভার থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানান দেলোয়ার।

শিশুটির মা-বাবাকে উপহারসামগ্রী হস্তান্তর করছেন ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে সাভার থানা-পুলিশ। হালিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, শিশুটির প্রকৃত মা-বাবা বগুড়ার সান্তাহার থানা এলাকায় বাস করেন। পরে তথ্য ও প্রযুক্তি এবং বগুড়া জেলা পুলিশের সহায়তায় শিশুটির প্রকৃত মা-বাবাকে খুঁজে বের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, হতদরিদ্র হওয়ায় শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর আর কোনো খোঁজ নিতে পারেননি তাঁরা। এমনকি আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারেননি।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ওই দম্পতি সাভার থানায় আসেন। এরপর শিশুটিকে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।