সাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে ইউএনএইচসিআর। ছবি: এএফপি

সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি
সাগরে কয়েক সপ্তাহ ভেসে থাকার রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। নৌকায় থাকা সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করছে সংস্থাটি। খবর আজকের পত্রিকার।

অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে ইউএনএইচসিআর জানায়, নৌকাটি সমুদ্রযাত্রায় ‘অনুপযোগী’ হওয়ার কারণেই সম্ভবত ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়ার আগে নৌকাটি পথ হারিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নৌকায় থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

ইউএনএইচসিআর টুইটারে এক পোস্টে জানায়, ‘আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সবাই ডুবে মারা গেছেন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।’

২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখসহ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছে।

বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব তো দূরের কথা, উল্টো তাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে নির্যাতন নিপীড়ন চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশে থাকাদের কাজের সুযোগ কম হওয়ায় উন্নত জীবনের আশায় দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করে রোহিঙ্গারা। এর সুযোগ নিয়ে মানবপাচারকারীরা তাদের মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কাজ দেওয়ার কথা বলে সাগরে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় নিয়ে যায়। ওই রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগেরই ক্ষুধা-তৃষ্ণা ও রোগে ভুগে যাত্রার ইতি ঘটে আন্তর্জাতিক জলসীমায়।

গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা দুটি সংগঠন জানায়, ভারত উপকূলে দুই সপ্তাহ ভেসে থাকা একটি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকার ২০ জনের মতো যাত্রী মারা গেছে। অন্তত ১০০ লোক নিয়ে নৌকাটি বর্তমানে মালয়েশিয়ার জলসীমায় আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।