মৃত আবু আহমেদের সন্তানদের মাঝে মধ্যস্থতা করছেন দাগনভূঞা থানার ওসি মো.হাসান ইমাম

সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত সন্তানেরা বাবার মরদেহ দাফন করতে দিচ্ছিলেন না। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ফেনীর দাগনভূঞা থানার ওসির হস্তক্ষেপে মৃত্যুর ১৪ ঘণ্টা পর দাফন করা হয় ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজি আবু আহমেদের(৯০)মরদেহ।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দাগনভূঞা পৌর শহরের আমনি উল্যাহপুর গ্রামের হাসপাতাল রোডের জননী ম্যানশনে বার্ধক্যের কারণে মারা যান আবু আহমেদ। তিনি উপজেলার উদরাজপুর গ্রামের মনু হাজি বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন।
প্রয়াতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মরহুম আবু আহমেদের সাত ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছেলে নেছার হাফেজ, সোহেল, কাউছার, হেলাল ও দুই মেয়ে জেসমিন আক্তার এবং গুলশান আরাকে সব সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে আবু আহমেদ তাঁর স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ছেলে ইমাম উদ্দীন পারভেজ, এনায়েত উল্যাহ ফরহাদ ও নেয়ামত উল্যাহকে সব সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দেন। এতে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত অন্য সন্তানেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আবু আহমেদের মৃত্যুর পর তাঁরা সম্পত্তির বিষয়ে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাঁর মরদেহ দাফনে বাধা দেন। ভাইবোনদের মাঝে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ এ কল করলে তারা বিষয়টি দাগনভূঞা থানাকে অবহিত করে। খবর পেয়ে থানার ওসি মো. হাসান ইমাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মৃত আবু আহমেদের সন্তানদের নিয়ে ওসি বৈঠকে বসেন এবং সম্পত্তির বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপর আবু আহমেদকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।