শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এসপি মো. কামরুজ্জামান বিপিএম। ছবি: পুলিশ নিউজ

শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে মঙ্গলবার এসপি মো. কামরুজ্জামান বিপিএমের সভাপতিত্বে ডিসেম্বর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা হয়।

শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দেখানো কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন এসপি মো. কামরুজ্জামান বিপিএম। ছবি: পুলিশ নিউজ

সভার শুরুতেই পূর্ববর্তী অপরাধ পর্যালোচনা সভার গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তী সময়ে সভায় জেলার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গি দমন, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, মুলতবি মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি, স্পর্শকাতর মামলাগুলোর অগ্রগতিসহ জেলার গোয়েন্দা কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

এসপি তাঁর বক্তব্যে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। পাশাপাশি দেশে বর্তমানে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে নিষ্ঠা, পেশাদারত্ব ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় ডিসেম্বর মাসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এবং চৌকস কার্য সম্পাদনের জন্য এসপি শেরপুরের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত চৌকস পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন৷

শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দেখানো কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন এসপি মো. কামরুজ্জামান বিপিএম। ছবি: পুলিশ নিউজ

সভায় শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস। শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার নির্বাচিত হন ডিবির এসআই (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হন শেরপুর সদর থানার এসআই (নিরস্ত্র) হাসানুজ্জামান। শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হন ঝিনাইগাতী থানার এএসআই (নিরস্ত্র) রাফেল চাম্বুগং।

শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হন শেরপুর সদর থানার এএসআই (নিরস্ত্র) ওমর ফারুক। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক প্রসিকিউশন দাখিলকারী কর্মকর্তা নির্বাচিত হন শেরপুর সদর ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. রুবেল মিয়া।