শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানাধীন বারোমারী সাধু লিওর খ্রিস্টান ধর্মপল্লিতে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী ‘ফাতেমা রানী মা মারীয়ার তীর্থ উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বারোমারী মিশন চত্বরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ-সংক্রান্ত ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। কোনো কিছু নিয়ে উত্তেজিত হওয়া যাবে না। আর ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর লক্ষ্যই হলো, যাঁরা ধর্মীয় কার্যাবলি পালন করতে আসছেন, তাঁদের সহযোগিতা করা এবং ভালো ব্যবহার করা।
তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু বলে বাংলাদেশ কেউ নেই। সংখ্যালঘু একমাত্র তারাই, যারা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মানে না। এর মানে সন্ত্রাসীরা ছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বলে বাংলাদেশ কেউ নেই বলে আমি বিশ্বাস করি। পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে কারও ধর্মীয়, জাতীয় বা সাংস্কৃতিক অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে, এমন অভিযোগ যেন না পাই।
আমি বিশ্বাস করি, সবার সহযোগিতায় তীর্থ উৎসব নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার মধ্যে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত সবাইকে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফরোজা নাজনীনসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিং শেষে পুলিশ সুপার বারোমারী মিশন চত্বরের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে বারোমারী মিশনের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও নৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।
উল্লেখ্য, শেরপুর শহর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ি উপত্যকার বারোমারী মিশন চত্বরে ফাতেমা রানীর তীর্থস্থলের অবস্থান।
নালিতাবাড়ী বারোমারী খ্রিস্টান ধর্মপল্লিতে ১৯৯৭ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে এ তীর্থস্থল স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকেই প্রতিবছর এখানে তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে। এ তীর্থ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্তের আগমন ঘটে পাহাড়ি এই জনপদে।