শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ হত্যার বিষয়ে পুলিশের প্রেস ব্রিফিং। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় বুলবুলের মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল ইসলাম (২২), আবুল হোসেন (১৮) ও মোহাম্মদ হাসান (১৮)। তাঁদের মধ্যে কামরুল ইসলামের বাড়ি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের টিলাগাঁও এলাকায়। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন ও ছুরিটি জব্দ করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুলবুলের মোবাইল ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছুরি দিয়েই বুলবুলকে হত্যা করা হয়েছে। এখনো অভিযান চলছে। পরে বিস্তারিত বলতে পারব।’

তিনি জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গাজীকালুর টিলা এলাকা থেকে বুলবুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিন রাতেই কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। আজ সকালে তাঁকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ।

তিনি জানান, ঘটনার বিষয়ে আরও বিষদ তদন্ত চলমান রয়েছে। পরে মামলার ঘটনায় প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো হবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বর্তমানে উপ-পুলিশ কমিশনার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত, জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন-উত্তর) এসএমপি, সিলেট, মো. সামছুদ্দিন ভূঁইয়া, সহকারী পুলিশ কমিশনার, জালালাবাদ থানা, মো. নাজমুল হুদা খান, অফিসার ইনচার্জ, জালালাবাদ থানা এবং মো. আবু খালেদ মামুন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), জালালাবাদ থানা, তদন্তকারী অফিসার এসআই দেবাশীষ দেব, জালালাবাদ থানা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মৃত বুলবুল আহমেদ (২২) লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করতেন। তাঁর বাড়ি নরসিংদীতে।