ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের কাছে প্রতিবেশী লেবানন সীমান্তে শিগগির অভিযান শুরু করবে ইসরায়েল। গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে আলাপকালে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এ কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে লেবাননের বেশ কয়েকটি এলাকায় হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাবে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে আলাপকালে গ্যালান্ত বলেছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলে লেবানন সীমান্তে শিগগির অভিযান চালাবে। তিনি বলেছেন, ‘তাঁরা (ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের সেনারা) শিগগির অভিযানে নামবে এবং উত্তরাঞ্চলে আরও বাড়তি সেনা পাঠানো হবে।’

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, ধীরে ধীরে রিজার্ভ সেনাদেরও প্রস্তুত করে মাঠে নামানো হবে, যাতে তারা ভবিষ্যতে বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নিতে পারে। গ্যালান্তের মতো একই ধরনের কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

গতকাল সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবাননে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ‘এ ছাড়া আমাদের লক্ষ্যের মধ্যে আছে দক্ষিণ লেবাননের মারকাবা, তাইবেহ ও মারুন আল-রাস অঞ্চলে অবস্থিত হিজবুল্লাহর বিভিন্ন অবকাঠামো ও পর্যবেক্ষণ পোস্ট।’

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জেনারেল হেরজি হালেভি বলেছিলেন, উত্তর সীমান্তে, অর্থাৎ লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ অনেক বেশি ভয়াবহ হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি জানি না উত্তর সীমান্তে যুদ্ধ কখন শুরু হবে, তবে আমি বলতে পারি, আগামী মাসে এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।’

এএফপির হিসাব অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষে দুই শতাধিক হিজবুল্লাহ সদস্য ও বেসামরিক লেবানিজ নিহত হয়েছেন। বিপরীতে ইসরায়েলের ৯ সেনা ও ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।