নৌকাডুবির শিকার বেশির ভাগ মানুষই ছিলেন নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া ও অন্যান্য আফ্রিকান দেশের নাগরিক। ছবি: সংগৃহীত

ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে ৬১ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রার্থীর মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। বেঁচে ফেরাদের উদ্ধৃত করে শনিবার ( ১৬ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠনটি জানায়, নৌকাটি ৮৬ যাত্রী নিয়ে জুওয়ারা শহর ছেড়ে আসে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, সাগরের উচ্চ ঢেউয়ের কারণে নৌকাটি যাত্রীসহ ডুবে যায়। এতে শিশুসহ ৬১ অভিবাসনপ্রার্থী নিখোঁজ রয়েছে এবং তাঁদের মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে চাওয়া অভিবাসনপ্রার্থীদের জন্য প্রধান পয়েন্টগুলোর মধ্যে লিবিয়া অন্যতম।

আইওএম বলছে, শুধু এ বছরই সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২ হাজার ২০০ এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই রুটটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন রুটগুলোর একটি করে তুলেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইওএম বলছে সর্বশেষ নৌকাডুবির শিকার বেশির ভাগ মানুষই ছিলেন নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া ও অন্যান্য আফ্রিকান দেশের নাগরিক। বেঁচে ফেরা ২৫ জনকে লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং তাঁদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

আইওএমের মুখপাত্র এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, এ বছরে সাগরে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা দেখে বোঝা যাচ্ছে সাগরে জীবন বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। গত জুনে গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলে একটি মাছ ধরার নৌকাডুবিতে অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয় এবং আরও ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়।

চলতি বছর তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে এক লাখ ৫৩ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রার্থী ইতালিতে পৌঁছেছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা