যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভুল তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর ও পররাষ্ট্র দপ্তর কর্তৃক ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)-সহ ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, এই নিষেধাজ্ঞা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।

এসোসিয়েশন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন আকস্মিক একতরফা সিদ্ধান্তে অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত সব পুলিশ সদস্য মর্মাহত ও বিব্রত। বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কে ফাটল ধরাতে একটি মহলের অপচেষ্টায় এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা খুবই দুঃখজনক। অনতিবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

র‍্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্য নয় উল্লেখ করে এসোসিয়েশন বলছে, এলিট ফোর্স র‍্যাব সৃষ্টির পর থেকেই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ করে নারী পাচার রোধ, মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে বলিষ্ঠ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে; যা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশে প্রশংসিত হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের নেতিবাচক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে র‍্যাবের ভূমিকা জনমনে স্বস্তি এনেছে। করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে র‍্যাব। দেশের আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে এবং মানুষের অধিকার সংরক্ষণে র‍্যাবের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও মানবাধিকার ও দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‍্যাব আন্তরিকভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

এসোসিয়েশন বিশ্বাস করে, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, সাইবার অপরাধসহ যেকোনো ধরনের আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে সব ধরনের ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে বলে প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।