কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার পুলিশ সেখানকার স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক করে সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেছে।

জানা গেছে, রৌমারী থানার কোমরভাঙ্গী নতুন পাড়ার দুই কিশোর ঈদ উপলক্ষে ঘোরাফেরা করার জন্য ২৩ এপ্রিল বিকাল আনুমানিক ৫টার সময় নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে বিকাল আনুমানিক পৌনে ৬টার সময় রৌমারী থানার যাদুরচর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে অপর একটি কিশোর গ্রুপের মুখোমুখি হয়। এ সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কসহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে ।

এরপর উভয় গ্রুপের শিশুদের মধ্যে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটার আগেই রৌমারী থানাপুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার সময় আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুদের রৌমারী থানা হেফাজতে নিয়ে রৌমারী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিনহাজ উদ্দিনকে বিষয়টি অবগত করেন।

পরে ২৪ এপ্রিল রৌমারী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিনহাজ উদ্দিন থানায় উপস্থিত হয়ে আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং শিশুদের অভিভাবকদের থানায় হাজির হওয়ার জন্য খবর দেন। শিশুদের স্ব স্ব অভিভাবক থানায় হাজির হয়ে লিখিতভাবে আবেদন করেন যে, বর্ণিত আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুদের একে অপরের বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই।
অভিভাবকদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে রোমারী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা উভয় পক্ষের অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় আপোষ মীমাংসা করে নেওয়ায় আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুদেরকে ২ মাসের পর্যবেক্ষণে রেখে নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় প্রদান করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় কিশোর গ্যাং কালচার পরিহারের লক্ষ্যে জেলা পুলিশ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি অভিভাবকদের আরো সচেতন থাকতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করি।