কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে নিখোঁজ তরুণীকে জর্ডানে পাচারের চেষ্টাকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রৌমারী থানা-পুলিশ জানায়, গত ৫ অক্টোবর রৌমারী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়। বিভিন্ন তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৬ অক্টোবর) নিখোঁজ হওয়া তরুণীকে জর্ডানে পাচারের চেষ্টাকালে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া ওভারব্রিজের কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করে রৌমারী থানা-পুলিশের একটি টিম।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার জানান, তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় এনে তার অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

পরে উদ্ধার হওয়া তরুণী জানায়, বাড়িতে ঝগড়াঝাঁটি হওয়ায় সে গাজীপুরে গিয়ে গার্মেন্টসে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর রৌমারী থেকে বাসে করে একা একাই গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় গিয়ে পৌঁছায়। সে সেখানে নেমে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে এবং মাওনা চৌরাস্তায় গাজীপুর শ্রীপুরের মাকসুদা বেগম নামে এক নারীর সাথে তাঁর পরিচয় হয়। মাকসুদা তাঁকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা এবং গার্মেন্টসে চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় এবং জর্ডানে গিয়ে উন্নত জীবন যাপন করার জন্য প্রলুব্ধ করে। তরুণীও সে ফাঁদে পা দেন এবং পাসপোর্ট করার আবেদন করে জর্ডান যাওয়ার প্রস্ততি নেন।

এদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা অনুসন্ধান করে জানতে পারেন, মাকসুদা নারী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তরুণীর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের বিষয়টি রৌমারী থানা-পুলিশের নজরে আসলে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক প্রস্ততি নেয় রৌমারী থানা পুলিশ। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনকারী অফিসারের সহায়তায় ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করে রৌমারী থানার একটি চৌকস টিম ১৬ অক্টোবর সকালে তাঁকে উদ্ধার করে রৌমারী থানায় নিয়ে আসে এবং তাঁর পিতার কাছে হস্তান্তর করে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রুহুল আমীন বলেন, নারী পাচারকারী চক্রটি সুকৌশলে ভিকটিমকে পাচার করার পরিকল্পনা করেছিল, যা পরে নিখোঁজ জিডি ও পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সঠিকভাবে অনুসন্ধান করার কারণে ভিকটিমকে পাচারের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে রৌমারী থানা-পুলিশ। নিরাপদ কুড়িগ্রামের লক্ষ্যে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।