পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

নোয়াখালীর ভাসানচর থানা এলাকায় রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন ও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ জুলাই) অভিযান চালিয়ে ইছাক (৩০) ও নুর হোসেন (২৪) নামের দুই রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে ভাসানচর থানার পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রশি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।

গত ২ জুলাই সিরাজুল ইসলাম (৪২) নামের একজন রোহিঙ্গা ভাসানচর থানায় এজাহার দায়ের করেন যে, তার ভাই সায়েদুল ইসলামকে (৩০) আগের রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ইছাক, আনিস, মো. ইব্রাহিম ও মো. আয়ুবসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।

তিনি জানান, হত্যাকারীরা প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সায়েদুলের শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম করেন। পরে রশি দিয়ে দুই পা বেঁধে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যাওয়ার সময় সায়েদুলের চিৎকারে আশপাশের লোক ছুটে এলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে এপিবিএন ও ভাসানচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং রোহিঙ্গাদের সহায়তায় হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মামলার পর এর তদন্তভার ভাসানচর থানার এসআই (নিরস্ত্র) সুদীপ্ত নাথ দীপ্তর ওপর অর্পণ করা হয়।

এরপর ৫ জুলাই এজাহার নামীয় আসামী ইছাক ও তদন্তে প্রাপ্ত আসামি নুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সায়েদুল ইসলাম (৩০) তার লোকজন নিয়ে এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ইব্রাহিমকে অপহরণ করেন ও মুক্তিপণ দাবি করেন এবং এক পর্যায়ে ইব্রাহিমকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে তারা পরিকল্পনা করে সায়েদুলকে হত্যা করেন।

নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ শহীদুল ইসলাম, পিপিএম (বার) জানান, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদেরকে আদালতে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।