জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২-এ রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যদা দেওয়া হয়েছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। খবর জাগো নিউজের।

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা এ খাতকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তারা বলছিলেন, এ খাত জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও শিল্পের মর্যাদা পায়নি। অথচ বিশ্বের অনেক দেশেই পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়া হয়। তারাও অন্যান্য শিল্পের মতো সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। এখন শিল্পখাতে রেস্তেরাঁ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় রেস্তোরাঁ খাত এক ধাপ এগিয়ে গেলো।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নের ঘোষণা দ্রুত ও স্থায়ীভাবে কার্যকর করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঐকান্তিক চেষ্টায় রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয়ের কারণে এই খাত শিল্পের মর্যাদা অর্জন করেছে। এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশের সব রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এ রেস্তেরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়া হয়। এ খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছে, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প এরইমধ্যে অনেকটা বিকশিত হয়েছে। পর্যটন শিল্পের আবশ্যিক সহায়ক উপকরণ হিসেবে হোটেল-রেস্তোরাঁকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়ায় এ খাত আরও বিকশিত হতে পারবে। জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাত আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে।

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির দেওয়া তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে ৬০ হাজার রেস্তোরাঁ আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ৩০ লাখ কর্মীসহ প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পের পরই হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতের অবস্থান।