প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মোঃ মাহবুব আলম, বিপিএম, পিপিএম (বার)। ছবি : ডিএমপি নিউজ

রামপুরায় পুলিশের সোর্স হত্যা মামলার মূল আসামি ও তাঁর সহযোগীকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের একটি টিম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোঃ রিমন ওরফে লিমন ও মহিউদ্দিন শিবলু।

গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম, পিপিএম-এর সার্বিক নির্দেশনায় এবং অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে খিলগাঁও জোনাল টিমের টিম লিডারের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

আজ সোমবার (১ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মোঃ মাহবুব আলম, বিপিএম, পিপিএম (বার)। খবর ডিএমপি নিউজের।

তিনি বলেন, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রামপুরা থানার বৌ-বাজার আদর্শ গলি সংলগ্ন বরফ গলিতে ভিকটিম আলমগীরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে দুর্বৃত্তরা। আহত ভিকটিমকে তাঁর বন্ধুরা চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসাপাতালে নিয়ে যায়। ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসাপাতাল থেকে ভিকটিমকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট শেরে বাংলা নগর হাসাপাতালে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম শনিবার (৩০ অক্টোবর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে মারা যান। ওই ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ।

জব্দ করা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি। ছবি : ডিএমপি নিউজ

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তারকৃতদের অবস্থান শনাক্ত করে রোববার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা পেশাদার মাদক কারবারি। ইতিপূর্বে ভিকটিম আলমগীরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম আলমগীরের ওপর তাঁদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। উক্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাঁরা ভিকটিমকে হত্যা করে।

গোয়েন্দা এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।