পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

রাজশাহী মহানগরীতে ঈদের দিন এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় মূল আসামিসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপির পবা থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন-মো. রাসেল রানা (৩৪) ও মো. রিপন (২২)।

রাসেল পবা থানার মাধাইপাড়ার মো. গোলামের ছেলে ও রিপন একই এলাকার মো. কসিমের ছেলে।

জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর পবা থানার তালাগাছী গ্রামের সাথে মাধাইপাড়া ও বীর গোয়ালিয়া গ্রামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিবাদ ছিল। গত ২৯ জুন বিকাল সাড়ে ৪ টায় বীর গোয়ালিয়া গ্রামের হাকুর ছেলে জনি তার স্ত্রীকে নিয়ে তালগাছি গ্রামের ব্রিজের কাছে বেড়াতে যাওয়ার সময় তালগাছী গ্রামের জীবন ও জাকিরের মোটরাসাইকেলের সাথে জনির ধাক্কা লাগে। এই ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি মীমাংসাও করে দেন।

পরে গ্রেপ্তার আসামিরাসহ মাধাইপাড়া গ্রামের আরও ১৫-১৬ জন ওই দিন সন্ধ্যায় পূর্ব বিবাদের জের ধরে তালগাছী ব্রিজের কাছে এসে জীবন ও জাকিরকে খুঁজতে থাকেন। এসময় তালগাছী গ্রামের মো. ইসরাফিলের ছেলে রাব্বিকে (২২)একা পেয়ে আসামিরা বাঁশের লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান। এরপর স্থানীয় লোকজন রাব্বিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে দিন অর্থাৎ ৩০ জুন রাব্বি মারা যান।

এরপর রাব্বির বাবা মো. ইসরাফিল পবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার পর আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)-এর নির্দেশে উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহ্‌মখদুম) মো. নূর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্ববধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ.এইচ.এম আসাদ হোসেনের নেতৃত্বে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ ও তার টিম আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।

পবা থানাপুলিশের ওই টিম আজ ২৫শে জুলাই বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজপাড়া থানার আলীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আসামি রাসেল ও রিপনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার দুই আসামি ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে ভিডিও ফুটেজে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর তারা পলাতক থেকে আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য আজ রাজশাহীতে আসেন। তাদেরকে আগামীকাল আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলায় আরও ৪ জন সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।