রাজবাড়ীতে জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এই খুনের ঘটনায় জড়িত ইজিবাইক চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত দুজন হলেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার মো. ইসমাইল শেখ (৪৫) ও রাজবাড়ী থানার সুজন পাঠান (২৪)। দুজনই ইজিবাইক চালক।

গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন হলেন মো. আশিক ওরফে আকাশ মাদবর (১৯), মো. রবিন হোসেন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন ওরফে সালমান (৩০), মো. আকরাম হোসেন (২৬) ও মো. সাদ্দাম হোসেন (২৬)।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্ট ঘাট থানা ও কালুখালী থানা এলাকায় গত ২৬ জানুয়ারি অচেতন অবস্থায় ইসমাইল ও সুজনকে আলাদাভাবে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁদের নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তাঁদের পরিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও কালুখালী থানায় মামলা করে। এরপর তদন্ত শুরু করে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ। বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত দল হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে। পরে ঢাকা জেলা ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় অভযিান চালিয়ে আশিক, রবিন, নিজাম, আকরাম ও সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চেতনানাশক দ্রব্য কৌশলে চায়ের সঙ্গে পান করিয়ে ইজিবাইকচালকদের অচেতন করে ইজিবাইক চুরি এর আসছে। ঘটনার দিন চক্রের একজন সদস্য চা বিক্রেতা সেজে চায়ের সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত চেতনানাশক মিশিয়ে ওই দুই ইজিবাইকচালককে পান ক রায়। এতে তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর চক্রের বাকি সদস্যরা ইজিবাইক দুটি নিয়ে কেটে পড়ে। এদিকে মাত্রাতিরিক্ত চেতনানাশক সেবনের ফলে দুই ইজিবাইকচালকের মৃত্যু হয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে চক্রটি। চেতনানাশক সেবনের পর কেউ কেউ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ঠিকেই, তবে দীর্ঘদিন তাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংঘবদ্ধ চক্রটি একই কৌশলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের আরও অনেক অপরাধ করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।