পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানার পুলিশ এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গত ১৭ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার কালুখালী থানাধীন পাতুরিয়া গ্রামের একটি পাটখেতে একটি অজ্ঞাত মৃতদেহের মাথার খুলি, চুল, হাড়সহ দেহের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায়। মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকা ব্যাগ, পায়ের স্যান্ডেল, জামা ও ওড়না দেখে ওই গ্রামের আবুল কাশেম ব্যাপারী মৃতদেহটি তাঁর ছোট মেয়ে জান্নাতুল নেছার (১৯) বলে শনাক্ত করেন।

আবুল কাশেম ব্যাপারী পুলিশকে জানান, গত ৫ জুলাই দিবাগত রাতে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে তাঁর মেয়ে জান্নাতুল নেছা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। আবুল কাশেম ব্যাপারী তাঁর মেয়ের লাশ শনাক্ত করলে কালুখালী থানায় হত্যা মামলা করা হয়।

এরপর কালুখালী থানা-পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে এবং ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সার্বিক দিকনির্দেশনায় অভিযান চালিয়ে ৮ আগস্ট আসামি মো. মাহফুজ মন্ডলকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে গত সেপ্টেম্বর অভিযান পরিচালনা করে রবিউল খান (২১), মো. হাকিম মন্ডল (২০), মো. হাসিব খান (২০) নামের তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা সকলেই পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, ভিকটিম জান্নাতুল নেছার ৪ বছর আগে বালিয়াকান্দি থানাধীন নারায়ণপুর এলাকার জসিম বেপারীর ছেলে কুদ্দুস বেপারীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলে সন্তানসহ বাড়িতে বসবাস করা শুরু করেন। ঘটনার ২ দিন আগে আসামি মাহফুজ মন্ডলের সাথে ভিকটিমের ফেসবুকে পরিচয় হয় এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথনের একপর্যায়ে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। আসামিরা জান্নাতুল নেছাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে এনে ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি মাহফুজ ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখান। একপর্যায়ে ভিকটিম বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা ৫ জুলাই রাতে জান্নাতুল নেছাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে পালিয়ে যান।