সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক অপারেশন লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

সবশেষ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় ঢাকায় ভবন আছে ১ হাজার ৫১১টি। যার মধ্যে মার্কেট, হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং আবাসিক ভবন রয়েছে। আর চলতি বছরের হালনাগাদ তালিকার রাজধানীর ৫৮টি মার্কেট ও শপিং মল ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৯টি মার্কেট অতি ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ ১৪টি ও সাধারণ ঝুঁকিতে আছে ২টি।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট-শপিং মলে অগ্নিঝুঁকি নিরসন ও অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক অপারেশন লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী। খবর আজকের পত্রিকার।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন ভাঙা হয়। মার্কেটের খালি স্থানে দোকান করা হয়, মালামাল রাখা হয়। নিয়মের কোনো তোয়াক্কা করা হয় না। মালিক ও ভবন কর্তৃপক্ষ কারও কথা শুনে না বলেই আগুন লাগলে তা নেভাতে কষ্ট হয়ে যায়।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মার্কেটগুলোতে যাই, পরিদর্শন করে আমরা চিঠিও দিই। স্বাক্ষর নিয়ে আসি। রাজধানীর কোন কোন মার্কেট ঝুঁকিতে আছে, তা আমরা লিস্ট করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেই।’

তাজুল ইসলাম বলেন, মার্কেটের ভেতরে নিয়মনীতি না মেনে থাকা ও পণ্য মজুত করার কারণে আগুন লেগে গেলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবাজারে তদন্ত করে নাশকতার কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ হলে পরিপূর্ণ রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে জানানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে দেশের শপিং মল ও মার্কেটগুলোতে সারা রাত নিজস্ব লোক মোতায়েন করতে বলেছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, মার্কেটের ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতিকে আমরা বলতে চাই, আপনারা মার্কেটের বিভিন্ন পয়েন্টে সারা রাত নিজস্ব লোক নিয়োগ দিন। এতে করে যে শুধু নাশকতা রোধ করা যাবে তা না, বর্তমানে দেশের তাপমাত্রা বেশি, যদি অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মার্কেটের কোনো দাহ্য পদার্থে আগুন লাগে, তারা প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতে কাজ করবে।

এ ছাড়া তিনি দেশের মার্কেটগুলোতে রাতে থেকে ধূমপান না করা, রান্না না করার নির্দেশনা দিয়েছেন।