জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম। ছবি: ডিএমপি নিউজের।

রাজধানীর লালবাগে জাল টাকা তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ। সেখানে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জাল টাকা, জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম, চক্রের মূল হোতাসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর ডিএমপি নিউজের।

গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন বাবুল শেখ, লিমা আক্তার রিনা, ইব্রাহিম শেখ, মো. আফাজুল ওরফে রাসেল, মো. হাবিবুল্লাহ, মো. দুল্লাল হোসেন ওরফে ইকবাল, সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি, মোছা. মিলি ও আল্পনা আক্তার রিপি। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে ৮২ লক্ষাধিক জাল টাকা, জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, জলছাপযুক্ত বিশেষ কাগজ, বিভিন্ন রকমের মনোগ্রাম সংবলিত স্ক্রিন, ডাইস, বিভিন্ন রং, কাগজ কাটার যন্ত্র, কাঁচি, চাকুসহ জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

তিনি বলেন, ঈদ সামনে রেখে জাল নোট ব্যবসায়ীরা বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য যাচাই করে লালবাগ থানার কাশ্মীরি লেন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কাশ্মীরি লেনের একটি বাসা থেকে ২৫ লাখ জাল টাকার নোট ও চক্রের মূল হোতা বাবুলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাল টাকা তৈরির মূল উৎসস্থল সম্পর্কে জানা যায়। পরে তাঁদের দেখানো মতে বাড়িটির তৃতীয় এবং ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরির ঘরোয়া কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় বাড়ির তৃতীয় এবং ষষ্ঠ তলা থেকে জাল টাকাসহ আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, ঈদ সামনে রেখে প্রায় ৩ কোটি জাল টাকার নোট বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল চক্রটি। চক্রটির মূল হোতা বাবুল শেখ কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় একই কাজে জড়িয়ে পড়েন।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।