ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

কোরবানির পশুর হাটসমূহের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকা মহানগরীর সকল বিপণিবিতান, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনালকেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার (২৫ জুন ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম স্বাক্ষরিত এক পত্রে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নিরাপত্তা নির্দেশনায় বলা হয়, বিগত ঈদুল ফিতরে আইন-শৃংঙ্খলা ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিএমপি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল, তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা পবিত্র ঈদুল আজহার নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ডিএমপির জনবলস্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশি টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যদি নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি হয়, তাহলে পুলিশ এবং ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে সার্বিক আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে অনেক বেশি সফল হওয়া সম্ভব।

সে লক্ষ্য সামনে রেখে আসন্ন ঈদে প্রতিষ্ঠান/বিপণিবিতান/আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো:

১। নিজস্ব প্রতিষ্ঠান/আবাসন/অ্যাপার্টমেন্ট/বিপণিবিতানসমূহে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার করা এবং যেকোনো ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা। সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি তদারক করার জন্য মার্কেট মালিক সমিতি/ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি কর্তৃক তদারকি কমিটি করে দিবারাত্র ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে ওই কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।

২। দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা করা।

৩। প্রতিষ্ঠান/বিপণিবিতান/আবাসনকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা।

৪। প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীকে একসাথে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা, যাতে করে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা তদারক করতে পারেন।

৫। সিসি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ধারণকৃত ভিডিও হার্ড ডিস্কে ঠিকমতো রেকর্ড হচ্ছে কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা।

৬। দায়িত্বরত গার্ড এবং প্রতিষ্ঠানে কাছের থানা, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মোবাইল এবং ল্যান্ড ফোনের নম্বর রাখা, যাতে যেকোনো দুর্ঘটনা/অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি হলে দ্রুত পুলিশকে জানানো যায়। সূত্র: ডিএমপি নিউজ।