রাজধানীতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. সজিব আহম্মেদ, মোছা. মর্জিনা আক্তার রনি ও মো. শরিফ হোসাইন। অভিযানে তাঁদের কাছ থেকে ৪৭টি ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়। খবর ডিএমপি নিউজের।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা জানান, শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সজিবকে আদাবর থানার নবোদয় হাউজিং থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সজিবের তথ্য অনুযায়ী মোছা. মর্জিনা আক্তার রনিকে পল্লবীর কালশী থেকে এবং শরিফকে তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারের সময় মর্জিনার বাসা থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা টাকা এবং শরিফের কাছ থেকে ৪৭টি চেক উদ্ধার করা হয়। আসামিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৭০টি অ্যাকাউন্ট, ব্যাংকের চেক ও এটিএম কার্ড রয়েছে।

যেভাবে করা হয় প্রতারণা

গ্রেপ্তার আসামিদের প্রতারণার ফাঁদ সম্পর্কে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আসামিরা প্রথমে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে। পরে তাঁদের মধ্যে কেউ ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা, কেউ কাস্টমস অফিসার, কেউ উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে কাউকে ব্যাংকে চাকরি, কাউকে বড় ধরনের উপহার এবং নারী সদস্য প্রেমের অভিনয় করে বিভিন্ন লোভনীয় অফারের মাধ্যমে প্রলুব্ধ করে। এরপর ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ওই সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, চেক ও এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে।

মোহাম্মদ খলিলুর রহমান আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থের পারসেন্টেজ পেয়ে থাকে। প্রতারক চক্রটি বরিশালের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫৯ লাখ টাকা, ঝিনাইদহের যুব উন্নয়নের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা এবং সাতক্ষীরার মসজিদের ইমামের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে।

এ-সংক্রান্তে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও থানায় দায়ের করা দুটি মামলা গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমে তদন্তাধীন আছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।