রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে মিরপুর থেকে ভিক্টর পরিবহনের বাসের চালক লিটন ও ওই বাসের সহযোগী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের।

এর আগে ঘাতক বাসটিকে জব্দ করে পুলিশ।

নিহত নাদিয়ার স্বজনদের করা ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদেরকে দুপুরের মধ্যে আদালতে পাঠানো হবে। একইসাথে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার ক্লাস না থাকায় এক বন্ধুর সঙ্গে তার মোটরসাইকেলে করে বই কিনতে উত্তরার বাসা থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাচ্ছিলেন নাদিয়া। কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাস। এতে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে নাদিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম ব্যাচের ফার্মেসি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্রী নাদিয়ার বাড়ি নারায়গঞ্জের ফতুল্লা থানার চাষাড়ায়। তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম একটি পোশাক কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক। তিন বোনের মধ্যে সবার বড় নাদিয়া এক সপ্তাহ আগেই নারায়ণগঞ্জের বাসা ছেড়ে উত্তরায় একটি হোস্টেলে উঠেছিলেন।

ওই দুর্ঘটনার পর পর কাওলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভিক্টর পরিবহনের ওই বাসের চালককে গ্রেপ্তার, নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ভিক্টর পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল এবং কাওলা এলাকায় বাস স্টপেজের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে সন্ধ্যায় তারা সড়ক থেকে সরে যান।