প্রতীকী ছবি

অটো সার্ভিসিং ব্যবসায়ী মো. মনিরুজ্জামান মানিক (৪৩) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) তাজহাট থানা-পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ মে) রাতে নগরীর তাজহাট থানাধীন আক্কেলপুর এলাকা থেকে আসামি মো. মমিন মিয়াকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি তাজহাট থানা এলাকায়।

শনিবার (২৭ মে) আরপিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মো. আবু মারুফ হোসেন জানান, গত ১ মে রাতে নগরীর তাজহাট থানাধীন দর্শনা এলাকা থেকে নিজ বাড়ি আক্কেলপুরের উদ্দেশে রওনা দেন ভুক্তভোগী মানিক। কিন্তু বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনরা। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তাঁর লাশ ভেসে উঠে। পরের দিন ২ মে তাজহাট থানায় মামলা করেন মানিকের স্ত্রী।

তদন্তের এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে আসামি মমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।

মমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মো. আবু মারুফ হোসেন জানান, গত ১ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মানিককে আক্কেলপুর স্কুলের মাঠে আসতে বলেন মমিন। এ সময় তাঁরা ৫০ হাজার টাকা লেনদেন নিয়ে আলাপ করেন। আলোচনার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে মানিকের গলায় ধারালো সুতা পেঁচিয়ে টান দেন মমিন। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাশের পুকুরে ফেলে দেন মমিন।