রংপুরে পীরগাছা থানা-পুলিশ ও ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার সংঘবদ্ধ চোর দলের পুরুষ সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রংপুরের পীরগাছা থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযান চালিয়ে অজ্ঞানপার্টির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুটের বিপুল পরিমাণের স্বর্ণালংকারসহ চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের নাম মনজুয়ারা বেগম (৩০), মোছা. মহারানী পারভিন (৩৫), মো. সুরুজ মিয়া (২২), পাপন চন্দ্র মহন্ত (২২) ও মো. রাশিদুল ইসলাম (৩০)।

রংপুর জেলা পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে পীরগাছা থানার গাবুরা চর এলাকার আজগার আলীর বাড়িতে অভিনব কায়দায় চুরি হয়। এক নারী কৌশলে তাদের বাড়িতে গিয়ে খাবারের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে দেয়, যা খাওয়ার পর বাড়ির সবাই অচেতন হয়ে পড়ে। পরে গভীর রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের চোরেরা ওই বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। পীরগাছা থানা-পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ চোর দলের অন্যতম সদস্য মনজুয়ারা বেগমকে গাইবান্ধার ধাপেরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যে ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুর থানা এলাকা থেকে চোরদলের অন্যতম সদস্য মহারানীকে এবং রংপুরের পীরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে সুরুজ, পাপন ও রাশিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রংপুরে পীরগাছা থানা-পুলিশ ও ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার সংঘবদ্ধ চোর দলের নারী সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে তিনটি চোরাই স্বর্ণের আংটি, দুটি স্বর্ণের নাকফুল, দুটি রুপার চেইন, একটি রুপার ব্রেসলেট, ছয়টি রুপার নুপুর, দুটি রুপার পায়ের আংটি, এক জোড়া রুপার কানের দুল এবং নগদ ৭ হাজার ৯৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে মনজুয়ারা ও মহারানী আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার, সি সার্কেল (পীরগাছা-কাউনিয়া) মো. আশরাফুল আলম পলাশ বলেন, পীরগাছা থানা ও রংপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার যৌথ দল টানা অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চোরদলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এই চক্রটি রংপুর ও আশেপাশের এলাকায় কৌশলে খাবারের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মানুষের সর্বস্ব লুট করত। এর আগে এই চক্রের দুজনকে ধরা হয়েছে। এবার ধরা পড়ল পাঁচজন। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।