ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গত দুই বছরে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাজধানী কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে এটি ইউক্রেনের সেনা নিহতের প্রথম সরকারি পরিসংখ্যান।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, নিহতের পরিসংখ্যান দিলেও আহতের কোনো সংখ্যা জানাননি জেলেনস্কি। আহতের সংখ্যা জানানো হলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পরিকল্পনার জন্য তা সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা সাধারণত সেনা হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেন না। কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে বেশ কিছু পশ্চিমা সাহায্য সরবরাহে দেরি এবং ইউক্রেনীয় সেনা নিহতের সংখ্যা রাশিয়ার বাড়িয়ে বলার পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি এই পরিসংখ্যান জানালেন।

জেলেনস্কি বলেন, ‘এই যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। দেড় লাখ কিংবা ৩ লাখ সেনা নিহত হয়নি, যেমনটি পুতিন ও তাঁর কুচক্রী মহল বলে আসছে। যদিও আমাদের প্রতিটি সেনার মৃত্যুই বিরাট ক্ষতি।’

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছিল, পশ্চিমা সাহায্যের অর্ধেকই পৌঁছাতে দেরি হওয়ার কারণে তাদের সেনাদের প্রাণহানি হচ্ছে। পাশাপাশি ভূখণ্ডও হাতছাড়া হচ্ছে।

তবে যুদ্ধে সবচেয়ে বড় ক্ষতি বলতে জেলেনস্কি হাজারো বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করেছেন। যাঁরা রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলোতে নিহত হয়েছেন। এসব নাগরিক নিহতের প্রকৃত সংখ্যা কত, তা জানা নেই বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

মার্কিন কর্মকর্তারা গত আগস্টে ইউক্রেনীয় সেনা নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার উল্লেখ করেছিলেন এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার বলে জানিয়েছিলেন।

এর আগে ২০২২ সালের শেষ দিকে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়েছিল ইউক্রেন। সেই সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক জানিয়েছিলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর ১৩ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন।