যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, আমেরিকান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে দূষণমুক্ত ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা অন্বেষণ করতে আগ্রহী এবং ওয়াশিংটন ডিসি এ বিষয়ে তাদের সহায়তা দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা (মার্কিন সরকার) এখানে থাকব এবং আমাদের কোম্পানিগুলোও এখানে থাকবে এবং সরকার হিসেবে আমরা তাদের সহায়তায় সবকিছু করে থাকি।’

আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রদূত জেলায় নির্মাণাধীন সামিট মেঘনাঘাট-২ পাওয়ার প্ল্যান্ট ও সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো এখানে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন বা গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের মতো প্রচলিত জ্বালানির ক্ষেত্রেই জোর দিচ্ছে না, বরং নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎসও অনুসন্ধান করছে।

এ ছাড়া ‘আমেরিকান কোম্পানিগুলো গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহী’ উল্লেখ করে দূত বলেন, আমেরিকান কোম্পানিগুলো সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে এবং কী উপাত্ত ও সুযোগ রয়েছে, তারা তা খতিয়ে দেখছে। তিনি বলেন, ‌’আমি যথেষ্ট আস্থাবান যে, কেউ যদি বিবেচনা করে সেখানে লাভজনক হওয়ার জন্য যথেষ্ট গ্যাস মজুত আছে, তাহলে তারা তা ব্যবহার করবে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে আগ্রহী।’ তিনি বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে ট্রেড শো থেকে জানতে পেরেছি, ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে, উত্তরণ ঘটাতে এখানে বিনিয়োগের লক্ষ্যে মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আসতে এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সাথে অংশীদারত্ব করতে আগ্রহী।’