রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় শাওন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম নাবিল সরকার। খবর ডিএমপি নিউজের।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিট যাত্রাবাড়ী থানার মীরহাজিরবাগ এলাকায় এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের বন্ধু শাওনকে চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করে। ঘটনার পর শাওনের ছোট ভাই ২০ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, শাওনের বন্ধু শুভর সঙ্গে এজাহারনামীয় আসামীদের ভালো সম্পর্ক । ঘটনার ৪/৫দিন আগে শাওনের বন্ধু শুভর সঙ্গে এজাহারনামীয় আসামীদের ঝগড়া হয়। এরপর শুভ এজাহারনামীয় ১নং আসামী রজবকে থাপ্পড় মারে। ফলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ী থানার মীরহাজিরবাগে আজিজ স্টোর নামে একটি মুদি দোকানের সামনে শাওন আসেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে এজাহারনামীয় ১নং আসামী রজব তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে শাওনের গলার নিচের অংশে, পেটের ডান পাশে, ঘাড়ের নিচে ও হাতে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শাওনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পরই আসামীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে যাত্রাবাড়ী থানার বিবির বাগিচা ৪নং গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় ২নং আসামী নাবিল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেখানো মতে যাত্রাবাড়ী থানার আবু হাজী মসজিদ গলি এলাকা হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার নাবিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যা মামলায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
