পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার তিন আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

যশোরে জিনের বাদশাহ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা চক্রের মূল হোতাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বিপিএম, পিপিএমের নির্দেশনায় এবং যশোরের বিশেষ পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে একটি টিম ২ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টায় জিনের বাদশাহ পরিচয় দিয়ে প্রতারণাকারী চক্রের মূল হোতাসহ তিন সদস্যকে ঢাকা আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন ফখরুল ইসলাম (৩৫), সুমি (৩০) ও আলিফ মিয়া (২০)।

জিনের বাদশাহ পরিচয়ে প্রতারণাকারী ফখরুল ইসলাম ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানা এলাকার ফুলগাছিয়া গ্রামের আঙ্কুর শিকদারের ছেলে, সুমি একই এলাকার মকবুলের মেয়ে এবং আলিফ মিয়া রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানা এলাকার জুতবানা গ্রামের আব্দুল সামাদের ছেলে।

প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবুল হোসেনের ব্যবসায় ৪ লাখ টাকা বাকি পড়ে ছিল। টাকাগুলো তিনি আদায় করতে পারছিলেন না। একসময় তিনি টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেখতে পান, জিনের মাধ্যমে মানুষের সমস্যার সমাধান করা হয়। পরে তিনি টেলিভিশনের পর্দায় দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। প্রতারক চক্রটি তাঁকে ৪ লক্ষ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি ২১টি পিতলের কলসিতে লুকায়িত আরও ১৩ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা পাওয়ার প্রলোভন দেখায়। তিনি প্রলোভনের শিকার হয়ে ১২ লক্ষ টাকা বর্ণিত আসামিদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে দেন। প্রতারিত হয়ে তিনি ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

উল্লিখিত আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে জিনের বাদশাহ পরিচয় দিয়ে জিনের সাহায্যে সকল সমস্যার সমাধান করে দেবেন বলে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে আসছিলেন।

গ্রেপ্তারের সময় আসামিদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও সিম উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। তাঁদের অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।