গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানাধীন গাড়িখানা রোডে মসজিদ গলি ন্যাশনাল ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেতু (২০) নামের এক তরুণকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ধাওয়া করে ঢাকা বিরানী হাউজের সামনে পাকা রাস্তার ওপর ফেলে উপর্যুপরি চাকু মেরে রক্তাক্ত জখম করে।
তখন একজন ট্রাফিক পুলিশ ধাওয়া করলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত জখম সেতুকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনাটি স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে এবং ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় সেতুর বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার মামলা করেন।
এরপর যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএমের নির্দেশে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ ও থানা-পুলিশ। ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে ডিবি ও থানা পুলিশ ওই দিন সন্ধ্যায় কাঠেরপুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ নম্বর আসামি রাকিবকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তার দেখানো মতে পিলুখান রোডে ইটের স্তূপে রাখা ঘটনায় ব্যবহৃত চাকুসহ আরও একটি চাকু জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্ৰেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে সেতুকে পেয়ে তার প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তারকৃত রাকিব ও তার সহযোগীরা ধাওয়া দিয়ে রাস্তায় ফেলে উপর্যুপরি চাকু মেরে রক্তাক্ত জখম করে। রাকিব ২০২০ সালে খালদাররোডে মুন্না হত্যার আসামি।