যশোরে সোহেল হত্যা মামলায় গ্ৰেপ্তার হওয়া দুই আসামি। ছবি: যশোর জেলা পুলিশ

যশোরের কোতয়ালী থানাধীন সোহেল রানা (৪০) গত ১২ এপ্রিল তাঁর ভাতিজা জিসানসহ মটরসাইকেলে করে শ্বশুরবাড়ী আলমনগর যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে সাতটার দিকে কোতয়ালী মডেল থানাধীন মঠবাড়ী বুকভরা ভেড়ির রাস্তায় পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সোহেল রানার স্ত্রী খুশির স্কুল বন্ধু প্রেমিক ফারাব্বি ও তার সহযোগী সোহেল রানার ভাতিজা জিসানের সঙ্গে যোগসাজসে মোটরসাইকেলর গতিরোধ করে সোহেল রানাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়। রক্তাক্ত সোহেল রানাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শাকিল খান (২৯) বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সোহেল রানার স্ত্রী খুশি মিম ও তাঁর ভাতিজা জিয়াদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে কোতয়ালী থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযানে আটক করে। জিসান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, জিসানদের সঙ্গে নিহত সোহেল রানার পারিবারিক কলহের জের হিসেবে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য সোহেল রানার শত্রু খুশি মিমের সাবেক প্রেমিকা ফারাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করে সোহেল রানাকে হত্যার পরিকল্পনা করে জিসান।

ঘটনার দিন জিসান সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সোহেল রানার শ্বশুরবাড়ীতে যাওয়ার সময় জিসান ফারাব্বিকে জানায়। ফারাব্বি পথিমধ্যে অজ্ঞাত সহযোগীদের নিয়ে ওৎ পেতে থাকে। পরে মঠবাড়ী ভেড়ির রাস্তায় পৌছাইলে নিরিবিলি এলাকায় গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।