যশোরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি। ছবি : যশোর জেলা পুলিশ

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ঘুরুলিয়া গ্রামে এক নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা নিয়ে মো. লতিফ শেখের দুই ছেলে ইউসুফ ও ইউনুছের মধ্যে কোন্দল বাধে। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তালবাড়ীয়া ঘুরুলিয়া গ্রামের কামার মোড়ে ইউসুফ আলী তাঁর আপন ভাই ইউনুছ আলীকে (২৪) ধারালো চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিন বাদী হয়ে শনিবার মামলা করেন।
এদিকে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাধীন পূর্ববারান্দি নাথপাড়া ভৈরব নদ-সংলগ্ন এলাকায় নাহিদ হাসান (১৪) নামের এক কিশোরকে চাকু দিয়ে আঘাত করে দুই কিশোর। নাহিদকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নাহিদের বাবা বাচ্চু শনিবার মামলা করেন।

ঘটনা দুটি একই দিন সংঘটিত হওয়ায় এ নিয়ে শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএমের নির্দেশে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ও কোতোয়ালি থানা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ভাইকে হত্যার মামলায় আসামি ইউসুফকে শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন নাটুয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত চাকু জব্দ করা হয়।
এদিকে শিশু নাহিদ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশু জিসান উদ্দিনকে (১৪) ওই দিন দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুরাতন কসবা টালিখোলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশের জমি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু জব্দ করা হয়।