যশোর বাঘারপাড়া উপজেলার মহিরন মধ্যপাড়া গ্রামের মো. তহিদুর রহমান যৌতুকের জন্য তাঁর স্ত্রী নূর জান্নাতকে (২৪) শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় ৫ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে অন্তঃসত্ত্বা নূর জান্নাতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত এবং পেটে লাথি মারেন তহিদুর। স্থানীয় লোকজন নূর জান্নাতকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে নূর জান্নাতের মা ও পরিবারের লোকজন বাঘারপাড়া থানা-পুলিশের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বুধবার নূর জান্নাতের স্বামী ও পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে নূর জান্নাত যাতে সন্তান না নেয়, তার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ডিবি পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে তহিদুর রহমানকে আটক করে। নূর জান্নাত সুস্থ হয়ে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তহিদুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তহিদুর বাঘারপাড়া উপজেলার মহিরন মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মুন্তাজ আলীর ছেলে। আর নূর জান্নাত ঢাকার কদমতলীর আবদুল মালেক ব্যাপারীর মেয়ে।