ধ্বংস করা আলামতের একাংশ। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আদালতে নিষ্পত্তি হওয়া ২২৩টি মামলার আলামত ধ্বংস করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার জজকোর্ট চত্বরে মামলার আলামত ধ্বংস করা হয়।

ধ্বংস করা আলামতের মধ্যে রয়েছে ৪ হাজার ৪২৪টি ইয়াবা বড়ি, ২০ কেজি ১৮০ গ্রাম গাঁজা, ৩৮ পুরিয়া হেরোইন, ২৭ বোতল বিদেশি মদ, ৭ বোতল বিয়ার, ৪৭ বোতল ফেনসিডিল, ২২৪ লিটার চোলাই মদ, ৫ হাজার শলাকা ভারতীয় বিড়ি, জুয়া খেলার সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন অবৈধ ও নকল কসমেটিকস।

পাশাপাশি কোর্ট মালখানা অফিসারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি সেচ মেশিন, একটি স্বর্ণের চেইন, একটি স্বর্ণসদৃশ চেইন, একটি বাইসাইকেল, একটি সেলাই মেশিন, একটি সিলিং ফ্যান, একটি ব্যাটারি, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাকা, একটি পানির ট্যাপ, একটি অ্যালুমিনিয়াম পাতিল নিলামের আদেশ দেন আদালত।

এ ছাড়া একটি ওয়ালটন মোটরসাইকেল আদালতের আদেশে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং একটি পালসার মোটরসাইকেল নিলামে বিক্রির পর ৩০ হাজার ৫১১ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া কোর্ট মালখানা অফিসারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ হাজার ভারতীয় রুপি এবং ৮ হাজার জাল টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার অনুমতি দেন আদালত।

কোর্ট মালখানা অফিসারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুটি রিভলবার, দুটি পাইপগান, একটি রিভলবারের গুলির খোসা, ছয়টি শটগানের গুলির খোসা, চারটি ছুরি এবং একটি রামদা পুলিশ লাইনস অস্ত্রাগারে জমা দেওয়ার অনুমতি দেন আদালত।

এ ছাড়া কোর্ট মালখানা অফিসারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের ১৯টি ধাতব মুদ্রা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে জমার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ সময় মৌলভীবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট (মালখানা বিভাগ) জগলুল হক, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. ইউনুস মিয়া, কোর্ট মালখানা অফিসার কৃষ্ণ কমল ভৌমিক এবং কোর্ট পুলিশের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।