নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানায় মোটরসাইকেল রাইডার সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করেছে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে।
জানা গেছে, ঢাকার মিরপুরে থাকতেন সাইফুল এবং ভাড়ায় মোটিরসাইকেল রাইড শেয়ারিং করতেন। ১৩ মার্চ ভিকটিম সাইফুল ঢাকা থেকে তাঁর নিজের মোটরসাইকেল ভাড়ার চুক্তিতে মাসুক ও ফয়সাল নামে দুই ব্যক্তিকে নেত্রকোনা নিয়ে আসেন। পরদিন ১৪ মার্চ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন ৩ নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের হানবীর এলাকার তেল্লা বালুচরে ভিকটিম সাইফুলের গলাকাটা দেহ ও আগুনে পোড়া মুখমন্ডল পাওয়া যায়। পরে মোহনগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাতনামা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ফিংগার প্রিন্টের সহায়তায় ভিকটিমের পরিচয় শনাক্ত করে। এরপর পুলিশ আসামি গ্রেপ্তার ও আলামত উদ্ধারে তৎপর হয়।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও থানা-পুলিশের তৎপরতায় এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্তর আহমেদ শান্তকে (২১) আটক করা হয় এবং অন্তরের বাড়ি থেকে ভিকটিমের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটক অন্তরকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং জড়িত অন্যান্য আসামির নাম প্রকাশ করেন। অন্তরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তিনি এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামি ১০ দিন ধরে একটি মোটরসাইকেল হস্তগত করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকেন। পরে তাঁরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে ভিকটিমের মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে তাঁকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।