পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

আলমডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর ষাটোর্ধ্ব দম্পতি নজির উদ্দিন ও ফরিদা খাতুনকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন মো. শাহাবুল হক (২৪), মো. রাজীব হোসেন (২৫), মো. বিদ্যুত আলী (২৩) ও মো. শাকিল হোসেন (২১)। তাঁদের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানা এলাকায়।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

তিনি জানান, ২৪ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা পৌরসভাধীন পুরাতন বাজার এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ওই দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়। আগের দিন ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে গলা কেটে তাঁদের হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মেয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।

মামলা তদন্তের একপর্যায়ে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৪৩ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন, দুটি ব্যাগ ও একটি রক্তমাখা জামা জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

মামলা তদন্তকালে জানা যায়, আসামি শাহাবুল ভুক্তভোগী নজির উদ্দিনের ট্রলির ড্রাইভার ছিল। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ভুক্তভোগীকে বালু কেনার প্রস্তাব দেন তিনি। এদিন রাত ৮টায় ভুক্তভোগীর বাড়িতে আসেন আসামিরা। বাসায় থাকা নগদ টাকার লোভে একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভুক্তভোগীদের ওপর হামলা চালান তাঁরা। বাধা দিলে দুজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে টাকা, ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন এবং দুটি ব্যাগ নিয়ে বাসায় তালা মেরে পালিয়ে যান আসামিরা। আসামি শাকিলের কাছে থাকা ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়।