বগুড়ায় মেহেদী হাসান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামী। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

বগুড়ায় মেহেদি হাসান (২৫) হত্যার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ রহস্য উদঘাটন করেছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহত মেহেদি বগুড়া শহরে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালাতেন। গত ৩১ অক্টোবর সারিয়াকান্দি থানার প্রেম যমুনা চরে জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি হলো মো. শাকিব হাসান (২৪), মোঃ আপেল প্রাং (২০) ও মোঃ সোহেল রানা (২৩)। তাদের কাছ থেকে মেহেদীর ব্যবহৃত অটোরিকশা ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেহেদীর লাশ উদ্ধারের পর ৩১ অক্টোবর সারিয়াকান্দি থানায় মামলা হয়। তাঁর লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার পর তদন্ত শুরু হয়। ২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা মেহেদীর অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর দুপুরে বগুড়ার চেলোপাড়ার চাষীপাড়া সেতুর ওপরে মেহেদীকে মুঠোফোনে ডেকে নেয় শাকিব। ওই সেতু থেকে শাকিব ও আপেল মেহেদীর অটোরিকশায় ওঠে। কিছুপর সোহেল ওই অটোরিকশায় ওঠে। এরপর সারিয়াকান্দির প্রেম যমুনার ঘাটে মেহেদীকে নিয়ে তারা তিনজন নৌকায় নদী পার হয়ে সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর পশ্চিম পাশের চরে একটি ধানের খেতে যায় তারা। সেখানে ধারালো ছুরি দিয়ে মেহেদীর গলায়, মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার পর মেহেদীর মুঠোফোন ও অটোরিকশা নিয়ে আসামিরা বগুড়া চলে যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বগুড়া সদর থানায় শাকিবের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি, আপেলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলাসহ দুটি এবং সোহেলের ডাকাতির প্রস্তুতির দুটি মামলা রয়েছে।