ইয়াঙ্গুনে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে সেনাবাহিনী। ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তোলা ছবি। রয়টার্স

মিয়ানমারের সরকারি মালিকানাভুক্ত মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, মিয়ানমারের শাসক জান্তার সম্প্রসারণ থামানোর লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এমওজিই হচ্ছে সামরিক সরকারের আয়ের প্রধান উৎস। মিয়ানমারের সরকার বিদেশ থেকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার জন্য সেই অর্থ ব্যবহার করছে।

এই ব্যবস্থায় আমেরিকানদের জন্য ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক পরিষেবা-সংক্রান্ত সব তৎপরতা যেমন তেল ও গ্যাস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণ, হিসাব, বিমা, বিনিয়োগ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞায় পুরোপুরিভাবে এমওজিইকে ব্লক করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কানাডা ও ব্রিটেনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলবে, যাতে এই তিনটি দেশকে একই সূত্রে আনা যায় এবং মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি যে মিয়ানমারে ক্রম-অবনতিশীল মানবাধিকার, মানবিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোচনে তারা যেন তাদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করে।’

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে এমওজিইর ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো চাপ দিয়ে আসছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বর্তমান মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের অন্যান্য দেশ জান্তার ক্ষমতা কমাতে বেশ কয়েক দফায় বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা।